যে পদ্ধতিতে অনেকগুলো ছোট ছোট সুতার প্যাকেজ থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ওয়ার্প সুতাকে নির্দিষ্ট বহরে এবং নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য সমান্তরাল ভাবে সাজিয়ে ধারাবাহিক ভাবে খালি বিমে সাজানো হয় তাকে ওয়ার্পিং বলে।
📌ওয়ার্পিং রিকোয়ারমেন্টসঃ
👉 সাপ্লাই প্যাকেজগুলোর ইউনিফর্ম হতে হবে।
👉ওয়ার্পিং সারফেস যেন সিলিন্ড্রিক্যাল হয়। এটা কোনোভাবেই রেক্টাঙ্গুলার বা অন্যান্য হলে কিন্তু ওয়ারপিং করা সম্ভব হবে না।
👉সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে ওয়ার্পিং এর কারনে যেন ইয়ার্নে কোন ফিজিক্যাল কিংবা মেকানিক্যাল প্রপার্টিস এরকোন ধরনের পরিবর্তন না আসে।
ওয়ার্পিং এর প্রকারভেদঃ সাধারণত দুই ধরনের ওয়ারপিং হয়ে থাকে
👉হাই স্পিড৷ ওয়ার্পিং
👉 সেকশনাল ওয়ারপিং
এছাড়াও( বল ওয়ারপিং) ও (ক্রস ওয়ার্পিং) রয়েছে।
হাই স্পিড ওয়ার্পিং
হাই স্পিড পর্টিং কমন সলিড ফেব্রিক বা একই কালারের ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
হাই স্পীড ওয়ারপিং এর শুধুমাত্র একই ধরনের ইয়ার্ন ব্যবহার করা যায় ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ইয়ার্ন একসাথে হাইস্পিড ওয়ার্পিং এ ব্যবহার করা যায় না।
এই ওয়ার্পিং এ ওয়েভার্স বিম প্রস্তুত করতে বেশি পরিমান ইয়ার্ন প্রোয়জন হয়। সাধারণত ফ্লাজ বীম ব্যাবহার করা হয়।
হাই স্পিড ওয়ার্পিং নামের সার্থকতা হলো প্রোডাকশনে হার খুবি বেশি।
সেকশনাল ওয়ারপিং
চেক বা স্ট্রাইপ ফেব্রিক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
প্রোডাকশন রেট অনেক কম হয়ে।
সেকশনাল ওয়ারপিং আমার সার্থকতা হলো এতে ওয়ার্পিং করা হয় সেকশন বাই সেকশন ।
বল ওয়ারপিং
বল ওয়ার্পিং এ কোন ওয়েভার্স বীম তৈরি করা হয় না। এর মাধ্যমে ইয়ার্ন গুলোকে কোন একটা বড় বিমে জড়ানো হয়। যেন সে গুলোকে সহজে ড্রাই করা যায় এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরানো যায়।
হাই স্পিড ওয়ারপিং প্রসেস এর ফ্লোচার্টঃ
ওয়ারপিং ইওয়ার্ন গুলো ক্রিল থেকে➡লিজিং সিস্টেম হয়ে এক্সপান্ডবল রীড ➡ এর মাধ্যমে ➡ বিমিং সেকশনে পৌঁছাই। অর্থাৎ ওয়ারপিং হতে থাকে। ওয়ারপিং পূর্বে মেজার করা হয়।
➡ ক্রিল creel
⬇
লিজিং Leasing system
⬇
এক্সপান্ডএবল রীড Expandable reed
⬇
দৈর্ঘ্য মেজার Length measuring system
সেকশান ওয়ারপিং প্রসেস এর ফ্লোচার্টঃ
ওয়ারপিং ইওয়ার্ন গুলো ক্রিল থেকে➡লিজিং সিস্টেম হয়ে এক্সপান্ডবল রীড এর মাধ্যমে➡ একটি ড্রামে জড়ো হয় ➡ তারপর বিমিং সেকশনে পৌঁছাই। অর্থাৎ ওয়ারপিং হতে থাকে। ওয়ারপিং পূর্বে মেজার করা হয়
➡ ক্রিল creel
⬇
লিজিং Leasing system
⬇
এক্সপান্ডএবল রীড Expandable reed
⬇
দৈর্ঘ্য মেজার Length measuring system
⬇
ড্রাম Drum
⬇
বিমিং Beaming system
⬇
বিমিং Beaming system
সূত্রগুলো জানতে পারলে আপনি নিজেই ওয়ার্পিং মেশিনের সমস্ত হিসাব বের করতে পারবেন।
সূত্রগুলো
টানা সুতার কাউন্ট বা বিম কাউন্ট বের করার সূত্র :
”টানা সুতার কাউন্ট বা বিম কাউন্ট”
= টানা সুতার ওজন (কেজি) × ১০০০ × ১০০০ ÷ টানা সুতার সংখ্যা × টানা সুতার দৈর্ঘ্য (মিটার)। [ টেক্স কাউন্ট পদ্ধতি ]
= টানা সুতার দৈর্ঘ্য (গজ) × টানা সুতার সংখ্যা ÷ ৮৪০ × টানা সুতার ওজন (পাউন্ড)। [ ইংলিশ কাউন্ট পদ্ধতি ]
টানা সুতার দৈর্ঘ্য গজে বের করার সূত্র :
”টানা সুতার দৈর্ঘ্য”
টানা সুতার দৈর্ঘ্য (গজ) = প্রতি ভীমে টানার দৈর্ঘ্য × প্রতি সেটে ভিমের সংখ্যা × সেট সংখ্যা।
স্লেশারের ওয়ার্পার বের করার সূত্র :
”স্লেশারের ওয়ার্পার”
স্লেশারে উৎপাদন /ঘন্টা × স্লেশারে সুতার সংখ্যা ÷ প্রতিটি ওয়ার্পারের এর উৎপাদন/ঘন্টা × ওয়ার্পারে সুতার সংখ্যা।
ওয়ার্পিং মেশিনের পার সিফট উৎপাদন বের করার সূত্র :
”ওয়ার্পিং মেশিনের পার সিফট”
=ওয়ার্পিং মেশিনের পৃষ্ঠগতি (গজ/মিনিট) × ৬০ × ৮ ÷ ৮৪০ × সুতার কাউন্ট × দক্ষতা × অপচয়, পাউন্ড।
=ওয়ার্পিং মেশিনের পৃষ্ঠগতি (গজ/মিনিট) × ৬০ × ৮ × দক্ষতা × অপচয়, গজ।
বিমের সুতার ওজনের ক্ষেত্রে :
”বিমের সুতার ওজন”
বিমসহ সুতার ওজন – খালি বিমের ওজন
টানা সুতার দৈর্ঘ্য বের করার সূত্র :
”টানা সেতুর দৈর্ঘ্য”
= টানা সুতার ওজন (পাউন্ড) × সুতার কাউন্ট × ৮৪০ ÷ টানা সুতার সংখ্যা ,(গজ)।
= টানা সুতার ওজন (পাউন্ড) × টানা সুতার কাউন্ট ÷ টানা সুতার সংখ্যা, (হ্যাংক)।
টানা সুতার সংখ্যা বের করার সূত্র :
”টানা সুতার সংখ্যা”
= সুতার কাউন্ট × সুতার ওজন (পাউন্ড) × ৮৪০ ÷ টানা সুতার দৈর্ঘ্য (গজ)।
= সুতার কাউন্ট × সুতার ওজন (পাউন্ড) ÷ টানা সুতার দৈর্ঘ্য (হ্যাংক)
টানা সুতার ওজন পাউন্ড বের করার সূত্র :
”টানা সুতার ওজন পাউন্ডে”
= টানা সুতার দৈর্ঘ্য (গজ) × টানা সুতার সংখ্যা ÷ ৮৪০ × টানা সুতার কাউন্ট