সেশন-৩ দক্ষ কোয়ালিটি সুপারভাইজার এর যোগ্যতা ও গুনাবলী-
কোয়ালিটি কন্ট্রোল
সুপারভাইজার :
যিনি অপারেটরদের কাজের গুনগতমান নিশ্চিতকরার জন্য নির্দিষ্ট
নিয়মে প্রস্তুতকৃত গার্মেন্টেস এর বিভিন্ন বিষয় তদারকি করেন এবং কোন ভুল থাকলে তা সংশোধনের
পদ্ধতি বর্ণনা করত: সংশোধন কার্যক্রম তদারকি করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুলের পুনরাবৃত্তি
যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করেন তাদেরকে কোয়অলিটি কন্ট্রোল সুপারভাইজার বলে ।
কোয়ালিটি কন্ট্রোল
সুপারভাইজার এর প্রয়োজনীয় যোগ্যতা :
1. শিক্ষাগত
যোগ্যতা কমপক্ষে এস এস সি পাস হতে হবে ।
2. গার্মেন্টস
শিল্পের কোয়ালিটি সংক্রান্ত কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ।
3. কোয়ালিটি
সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান ও দক্ষতা থাকতে হবে ।
4. অধীনস্থদের
ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী গুনগতমানের বর্ণনা করার যোগ্যতা ।
5. ফেব্রিক্স
ও এক্সেসরিজ সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে ।
6. গার্মেন্টস
চেক করার দক্ষতা থাকতে হবে ।
7. ডিফেক্ট
চিহ্নিত করার যোগ্যতা ।
8. সমস্যা
চিহ্নিত করন ও তার সমাধানের উপায় বর্ননা করার যোগ্যতা ।
9. কার্যকর
ভাবে যোগাযোগের দক্ষতা ।
10. অপারেটরদের
নিয়ন্ত্রন ও মোটিভেট করার যোগ্যতা ।
11. প্রোডাকশন
সুপরভাইজারদের সঙ্গে সহযোগীতামুলক সম্পর্ক বজায় রাখার যোগ্যতা ।
12. সঠিক
মানসম্মত প্রোডাক্ট উৎপাদন নিশ্চিত করণ যোগ্যতা ।
13. কোয়ালিটি
ইন্সপেক্টরদেরকে সঠিকভাবে পরিচালনার মাধমে পন্যের গুনগত মান নিশ্চিত করার যোগ্যতা ।
14. নেতৃত্ব
গ্রহণের যোগ্যতা ।
15. অধীনস্থদের
বুঝা এবং তাদেরকে অনুপ্রাণীত করার কৌশলগত দক্ষতা ।
16. কোয়ালিটি
গ্রহনযোগ্যতার মাত্রা সঙক্রান্ত জ্ঞান ।
17. কোয়ালিটি
সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট বিশ্লেষনের দক্ষতা ।
18. কোয়ালিটি
সংক্রান্ত বিভিন্ন রেকর্ড সংরক্ষন সংক্রান্ত ফরমেট সম্পর্কে ধারনা ।
19. কোয়ালিটি
সংক্রান্ত বিভিন্ন রিপোর্ট তৈরি করার ক্ষমতা ।
20. লাইন
লে-আউট সম্পর্কে ধারনা ।
21. প্রোডাকশন
ও এপ্রোভাল সেম্পল কমপেয়ার করা ।
কোয়ালিটি কন্ট্রোল
সুপারভাইজার এর প্রয়োজনীয় গুনাবলী :
1. আন্তরিকতা
ও সততা ,
2. ধৈর্যশীল
ও সহনশীলতা,
3. প্রোএ্যাক্টিভ,
4. অভিযোজনশীল
(পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানো ),
5. সহযোগীতামুলক
মনোভাব ,
6. আন্তঃব্যাক্তিক
যোগাযোগে পারদর্শী,
7. বিশ্বস্ত
ও আস্থাশীল,
8. অন্যের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল,
9. কোম্পানী
এবং কোম্পানীর নিয়ম নিতির প্রতি অনুগত ও শ্রদ্ধাশীল,
10. নিবেদিত
ও দায়িত্বশীল,
11. কাজের
চাপ সহ্য করার সক্ষমতা,
12. ইতিবাচক
মনোভাব,
13. দায়িত্বশীল
আচরন,
14. কর্তৃপক্ষের
নিয়মনীতি অনুযায়ী কার্যপ্রণালী পরিচালনা করার দক্ষতা ।
অধীনস্থদের সাথে
ভাল সম্পর্ক রাখার উপায় :
1. অধীনস্থদের
সমস্যা ও সুবিধা-অসুবিধা বুঝতে হবে ,
2. সঠিক
কর্ম নির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা দিতে হবে ,
3. সততা
, আন্তরিকতা ও ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করতে
হবে ,
4. কোন
ব্যর্থতা বা অপরাধের জন্য শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ ও যৌক্তিক
হতে হবে,
5. প্রত্যেক
সমকর্মীর আত্মসম্মান ও মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে,
6. ভুলের
জন্য তীরষ্কার বা গালমন্দ না করে ভালভাবে বুঝাতে হবে যাতে আর কোন ভুল না করে,
7. সহকর্মীর
ইতিবাচক ও সহযোগীতামুলক মনোভাব দেখাতে হবে ।
উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের
সাথে ভাল সম্পর্ক রাখার উপায় :
1. কর্তৃপক্ষের
প্রত্যাশা জেনে নেয়া,
2. শ্রদ্ধাশীল
আচরন করা,
3. কাজের
প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া ও গঠণমুলক কথা বলা,
4. কর্তৃপক্ষের
প্রদত্ত নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করা,
5. কর্তৃপক্ষের
সমালোচনা না করা ,
6. কোন
সিদ্ধান্তের বিরোধিতা না করা ।
****************************************************************************************************